" দুদিনেও জ্ঞান ফেরেনি প্রেমার, স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে আরাধ্যকে - dailymorning.online

banner

দুদিনেও জ্ঞান ফেরেনি প্রেমার, স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে আরাধ্যকে

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনার পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও জ্ঞান ফেরেনি কলেজছাত্রী তাসনিয়া ইসলাম প্রেমার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রেমার অবস্থা তেমন ভালো না। অন্যিদকে একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু আরাধ্য বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আগ্রহেই তাকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।


এর আগে গত বুধবার সকালে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাইক্রোবাসে থাকা প্রেমার বাবা রফিকুল ইসলাম (৪৮), মা স্ত্রী লুৎফুন নাহার (৩৭), বোন লিয়ানা ও ফুফাতো বোন তানিফা ইয়াসমিন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় প্রেমার আরেক বোন আনিশাও। সড়ক দুর্ঘটনায় ওই পাঁচজন ছাড়া মাইক্রোবাসে থাকা আরও নিহত পাঁচজন হলেন আরাধ্য বিশ্বাসের বাবা দিলীপ বিশ্বাস (৪৩) ও মা সাধনা মণ্ডল (৩৭), মামা আশীষ মণ্ডল (৫০) ও দিলীপ বিশ্বাসের সহকর্মী মোক্তার আহমেদ (৫২) এবং মাইক্রোবাসের চালক ইউছুফ আলী।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার বিভাগের প্রধান ডা. হারুন-উর-রশিদ কালবেলাকে বলেন, তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা একদমই ভালো নেই। দুইদিনেও জ্ঞান ফিরেনি। খুব খারাপ অবস্থায় আছে।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে কালবেলাকে বলেন, আরাধ্য বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা করবে। স্কয়ার হাসপাতালের মালিক আরাধ্যের খবর জানতে পেরে স্কয়ারে চিকিৎসা করানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার তারা বহন করার কথা জানিয়েছেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

banner