" মুসলিম নয়, ইহুদি বসতিতেই বোমাবর্ষণ করলো ইসরায়েল! - dailymorning.online

banner

মুসলিম নয়, ইহুদি বসতিতেই বোমাবর্ষণ করলো ইসরায়েল!

 


কখনো কখনো যুদ্ধ এমন অদ্ভুত মোড় নেয়, যেখানে শত্রু নয়, শিকার হয়ে পড়ে নিজেরাই। ঠিক তেমনই এক বিস্ময়কর ভুলের সাক্ষী হলো বর্বর ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে হামাসকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ চালাচ্ছিল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী, কিন্তু যে নিশানায় টার্গেট করার কথা ছিল, সেই বোমাগুলো গিয়ে পড়লো নিজেদেরই ইহুদি বসতির উপর।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজা সীমান্ত থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে, ইতিজাক এলাকার কাছে। 

বুধবার সকালে এই অস্বস্তিকর ভুলের পর ব্যাখ্যা দেয় আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স)। তারা জানায়, এটি ছিল একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কাকতালীয়ভাবে, ঠিক সেদিনই গাজা সফরে গিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। তিনি জানান, গাজার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অবস্থান নেওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য অনুমোদন করা হবে না কোনো মানবিক সহায়তা। তার ভাষায়, এই কৌশলের লক্ষ্য হামাসের ওপর চাপ বাড়ানো। তবে তিনি আরও জানান, গাজায় মোতায়েন ইসরায়েলি সেনাদের গতিবিধি থাকবে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।

এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকেই গাজা পুড়ছে যুদ্ধের আগুনে। প্রথমে বন্দুকের নলের জোরে ফাঁকা করা হয় উত্তর গাজা, এরপর মধ্য গাজা, সেখান থেকে খান ইউনিস—সব জায়গায় চলে ধ্বংসযজ্ঞ। অভিযানে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয় ঘরবাড়ি, হাসপাতালসহ সমস্ত কিছু।

এবার বর্বর নেতানিয়াহুর নজর গাজার একেবারে দক্ষিণে—রাফা এলাকায়। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনিদের।

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই ইসরায়েল দিয়েছে নতুন এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি হামাস ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে ইসরায়েলও কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। পাশাপাশি ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে গাজায় সামরিক হামলা।

হামাস জানিয়েছে, তারা এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এমনকি প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই এক মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক—ইদান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তারা, যাতে আমেরিকার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা যায়।

Next Post Previous Post

banner