" ইসরাইলের নতুন আতঙ্ক, ইরানের ’আলমাস’ ‍সিরিজের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র! - dailymorning.online

banner

ইসরাইলের নতুন আতঙ্ক, ইরানের ’আলমাস’ ‍সিরিজের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র!

 

সেই প্রতিরোধ যুগ অর্থাৎ ইরাকের বাথ পার্টি যখন ক্ষমতায় দেশটির সাথে ইরানের যুদ্ধ লাগার সময় থেকেই ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।


ইরাক এবং ইরানের মধ্যে ৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সময় ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেট ক্ষেপণাস্ত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাব ছিল ইরানের। যুদ্ধ শেষে এই খাতে ইরান বিশেষ মনোযোগ দেয়।


এসময় ইরান ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প তুফানকে টিওডব্লিউ তে রূপান্তরিত করে। সর্বাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে ব্যাপকহারে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করতে থাকে ইরান।


বেশিরভাগ পুরোনো ধাঁচের ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ছিল সরাসরি পরিচালনাযোগ্য অর্থাৎ এটি পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে সার্বক্ষণিক যন্ত্রের সাথে থেকে চালাতে হতো। আধুনিক যুধদ্ধবিদ্যায় তা একেবারেই অকার্যকর। কেননা প্রতিপক্ষের রাডার সেন্সর ও ড্রোন দিয়ে সহজেই তা শনাক্ত করা যায় এবং লঞ্চ প্যাড অর্থাৎ যেখানে থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হবে সেটি এবং তার পরিচালনাকারীকে আক্রমণ করা যায়।


এই চিন্তা থেকে ইরান ফায়ার এন্ড ফরগেট শ্রেণীর ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানানো শুরু করলো এবং এগুলোর নাম দিলো আলমাস। আলমাসকে ইরান সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় ২০২০ সালে। আবাবিল থ্রি নামক ড্রোন থেকে এটি ছোঁড়া হয়।


আবাবিল এমন একটি গজাল আকৃতির ক্ষেপণাস্ত্র যেটি বাতাসে ভেসে ভেসেই আক্রমণ ও আঘাত করতে পারে। এটি ড্রোন থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার ও স্থলযান থেকে ছোঁড়া যায়। এমনকি পদাতিক সৈনিকরাও এটি ছুঁড়তে পারে।


এতে রয়েছে থার্মাল প্রযুক্তির শনাক্ত ক্ষমতা, ফলে অস্ত্র সম্বলিত যেকোনো বস্তু, দূর্গ ও পদাতিক বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আঘাত করতে পারে। আলমাস ক্ষেপণাস্ত্র ৪ ধরণের হয়।


এর মধ্যে আলমাস ফোর ও এনএলওএস এই দুটির সমন্বয়ে আলমাস সিরিজের আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান। এটি কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারে এবং শত্রুপক্ষের স্বল্প পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করতে পারে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি ইরান তবে ভবিষ্যতে দেবে বলে জানানো হয়েছে‌।

Next Post Previous Post

banner